Skip to main content

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে।

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে:

ডা.রাফিয়া আলম
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
শরীরর্চ্চা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।যাঁরা সময়ের অভাবে বা স্থানের অভাবে বাইরে যেতে পারেন না,তাঁরা বাড়ীতে বা ব্যায়ামাগারে যন্ত্রপাতির সাহায্যে ব্যায়াম করছেন।আজকাল অনেকেই ঘরপই তাই  ট্রেডমিল আছে।
আসুন জেনে নিই ট্রেডমিল ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন। শুরুতেই খুব জোরে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই।৫-১০ মিনিট হালকাভাবে হেঁটে বা দৌড়ে শরীর গরম করে নিন।এরপর জোরে দৌড়ান।নিজের সামর্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে সময়টা ঠিক করে নিন।কিছুক্ষণ জোরে দৌড়ানোর পর গতি কমিয়ে নিয়ে ধীরে হাঁটুন।প্রাথমিক অবস্থায় যতক্ষণ দৌড়াচ্ছেন, তার তিন গুন সময় পর্যন্ত কম গতিতে হাঁটুন,এরপর আবার জোরে দৌড়ান এবং একই নিয়মে ধীরে হাঁটুন।এভাবে ছন্দ মেনে চলুন।কয়েক দিন পর ধীরে হাঁটার সময়টুকু অল্প অল্প করে কমিয়ে আনুন।একসময় ধীরে হাঁটার সময়টা জোরে দৌড়ানোর সময়ের চেয়েও কমিয়ে আনা সম্ভব।
অতিরিক্ত পরিশ্রম করে প্রচণ্ড হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থায় যাওয়ার আগেই ব্যায়ামের গতি কমানো বা বিশ্রামে যাওয়া উচিত। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ব্যায়াম করার পরিবর্তে মাঝারি শক্তি খরচ করে ব্যায়াম করাটাই স্বাস্থ্যসম্মত।আধুনিক ট্রেডমিলে বিভিন্নভাবে দৌড়ানোর আলাদা প্রোগ্রাম রয়েছে।যেটি আপনার জন্য উপযোগী, সেটিই বেছে নিন।গতি মাঝারি রাখাই ভালো।ব্যায়ামের সুবিধার্থে ট্রেডমিলের তলটিকে সুবিধামতো হেলানো যেতে পারে। প্রথমে সমান তলে দুই মিনিট দৌড়ালেন, এতে আপনার খুব বেশী বেগ পেতে হলো না।এরপর ট্রেডমিলের তল এক ধাপ বাঁকিয়ে নিয়ে আরও দুই মিনিট দৌড়ান।এভাবে প্রতি দুই মিনিট পরপর ট্রেডমিলের তল আরও এক ধাপ করে বাঁকিয়ে নিন,যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি মোটামুটি হাঁপিয়ে উঠছেন।এবার প্রতি দুই মিনিট অন্তর হেলানো তলটিকে এক ধাপ করে মেঝের সমতলের দিকে ফিরিয়ে আনতে থাকুন।আবার সুবিধাজনক একটি বাঁকানো তল বেছে নিয়ে একই তলে ব্যায়াম করা যায়।ট্রেডমিলে দৌড়ানোর উপযোগী জুতা পড়ুন।দৌড়ানোর সময় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়া ঠিক নয়,শরীর সোজা রাখুন।খুব বেশী লম্বা পদক্ষেপ নেবেন না।আবার পা ফেলার সময় পায়ের তালু একেবারে সোজা ও সমান করে ফেললে ট্রেডমিলের গতির কারণে আপনি পড়ে যেতে পারেন।তাই স্বাভাবিক দৌড়ানোর ভঙ্গিতে পা ফেলুন।পায়ের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দৌড়ান।দৌড়ানোর সময় হাত দিয়ে বার আঁকড়ে রাখবেন না,বরং হাত দুটোকে মোটামুটি ৯০ ডিগ্রিতে বাঁকিয়ে রাখুন।হাত শক্ত না করে হালকাভাবে রাখুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।

Comments

Popular posts

রোজা পালনে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়।

রোজা পালনে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীশ: অধ্যাপক ডা.মো.নুরুল গনি। আজ মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিন।যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,তারা নিশ্চয় চিকিৎসকের পরামর্শে রোজা করছেন।এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীরাও।রোজা পালনের ক্ষেত্রে ডায়বেটিসে আক্রান্তরা ভয় পেয়ে থাকেন।যদিও ভয়টা অমূলক নয়,তবুও বলব-ভয় জয় করে বেঁচে থাকাই আসল বাঁচা।ভয়ের কারণ খাদ্য বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার সময় বলা হয়, সময় মতো এবং প্রতি তিনঘন্টা পর পর খাবার খাবেন।আর যারা ইনসুলিন নিয়ে থাকেন,তাদের খাবারের আগে অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে ইনসুলিন নিতে বলা হয়।এ জন্য রোজার সময় রোগীরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রোজা রাখলে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।রোহা রেখে রক্ত পরীক্ষা করলে কিন্তু রোজা ভঙ্গ হয় না। সুখের বিষয় হলো,রমজানের প্রথম আহার ইফডারের প্রায় সব উপাদানই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপযুক্ত।শুধু চিনি,গুড় বাদ দিলেই হলো।শরবতের পরিবর্তে ডাবের পানি অথবা বিকল্প চিনি দিয়ে লেবুর শরবত,ইসবগুলের শরবত,তোকমার শরবত,তেঁতুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে।তবে ফলের রস নয়।ছোলা -পেঁয়াজুর পাশাপাশি মুড়ি বা চিড়া বা ফ্রায়েড রাইস অথবা খিচুড়ি খেতে কোনো বাধা-নিষেধ নেই।...

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত।

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত: ডা.এম ইয়াসিন আলী: বাত খুব পরিচিত শব্দ।আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ বাতব্যথায় ভুগে থাকেন।মানবদেহের জোড়া অংশগুলোর রোগ বা সমস্যা আথ্রার্টিস নামে পরিচিত।মানবদেহে অসংখ্য জয়েন্ট বা জোড়া রয়েছে।এসব জোড়া তিন ধরনের। এসবে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনের নামই হলো আথ্রাইটিস।এটি এক ধরনের বাতরোগ।আথ্রাইটিসে এক বা একাধিক জোড়ায় ব্যথা হয়।জোড়া ফুলে যেতে পারে,নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে,রোগীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম,চলাফেরায় অসুবিধা হবে,অনেক সময় জ্বরও আসতে পারে,পাশাপাশি শরীর ক্লান্তবোধ,অবসাদ,হতাশা,অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।এভাবে চলতে থাকলে ক্রমে রোগী তার দেহের জোড়ার কর্মক্ষমতা বা নড়াচড়ার ক্ষমতা হারায়,এবং জোড়া সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে রোগী পঙ্গুত্ববরণ করতে পারে।এ ছাড়া দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে মাংসপেশী শুকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা :আথ্রাইটিস জোড়ার রোগ।এটি বিভিন্ন ধরনের।যদি কারো এ জাতীয় সমস্যা হয়,তা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন।এ ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেও বোঝা যায়,কী ধরনের আথ্রাইটিসে রোগী আক্রান্ত।আথ্রাইটিসে ফিজিওথের...