Skip to main content

রোজা পালনে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়।

রোজা পালনে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীশ:
অধ্যাপক ডা.মো.নুরুল গনি।
আজ মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিন।যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,তারা নিশ্চয় চিকিৎসকের পরামর্শে রোজা করছেন।এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীরাও।রোজা পালনের ক্ষেত্রে ডায়বেটিসে আক্রান্তরা ভয় পেয়ে থাকেন।যদিও ভয়টা অমূলক নয়,তবুও বলব-ভয় জয় করে বেঁচে থাকাই আসল বাঁচা।ভয়ের কারণ খাদ্য বিষয়ে উপদেশ দেওয়ার সময় বলা হয়, সময় মতো এবং প্রতি তিনঘন্টা পর পর খাবার খাবেন।আর যারা ইনসুলিন নিয়ে থাকেন,তাদের খাবারের আগে অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে ইনসুলিন নিতে বলা হয়।এ জন্য রোজার সময় রোগীরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রোজা রাখলে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।রোহা রেখে রক্ত পরীক্ষা করলে কিন্তু রোজা ভঙ্গ হয় না। সুখের বিষয় হলো,রমজানের প্রথম আহার ইফডারের প্রায় সব উপাদানই ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপযুক্ত।শুধু চিনি,গুড় বাদ দিলেই হলো।শরবতের পরিবর্তে ডাবের পানি অথবা বিকল্প চিনি দিয়ে লেবুর শরবত,ইসবগুলের শরবত,তোকমার শরবত,তেঁতুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে।তবে ফলের রস নয়।ছোলা -পেঁয়াজুর পাশাপাশি মুড়ি বা চিড়া বা ফ্রায়েড রাইস অথবা খিচুড়ি খেতে কোনো বাধা-নিষেধ নেই।অর্থাৎ যে কোন একটি শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।এদিকে নুডলস যেহেতু ময়দার তৈরী, এ কারণে এটিও শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যেই পড়ে।আসলে অন্যদিনে সকালের নাশতায় যতটুকু শর্কতা বা কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার কথা ছিল,ইফতারিতে ঠিক ততটুকুই কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।মিষ্টি ফল, যেমন- খেজুর, আম,কমলা,আপেল,কলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে বলা যায়,যদি রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে,তা হলে যে কোনো একটি ফল পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যাবে।টক ফল যেমন- আমড়া,কামরাঙা, ইত্যাদি রুচি অনুযায়ী খাওয়া যাবে।সন্ধ্যারাতে কেউ রুটি খেতে না চাইলে ভাত খেতে পারেন।তবে এ সময় ডাল বাদ দিলে ভালো হয়।জারন ইফতারিতে ডালের তৈরী খাবার বেশী খাওয়া হয়।সেহরিতে ভাত-মাছ বা মাংস এবং সবজির সঙ্গে ডাল খাওয়া যেতে পারে।তবে যদি এ সময় দুধ খাওয়া হয়,তা হলে ডাল বাদ দিলে ভালো হয়।আর যাদের ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স আছে,তারা সয়াদুধ আা যে কোনো নিউট্রিশনের প্রোডাক্ট খেতে পারেন।তবে মনে রাখতে হবে, অন্যদিনে পাঁচ থেকে ছবার যতটুকু খাবার খাওয়া হতো,সেই পরিমাণ খাবারই ইফতার,সন্ধ্যারাতে ও সেহরিতে খেতে হবে।এর বেশী নয়,আবার কমও নয়।আবার কোনো বেলায় খাবার বাদও দেওয়া যাবে না। তা হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ   রক্তশর্করা স্বাভাবিক চেয়ে নিচে নেমে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।রোজার সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তারাবির নামাজ পড়ার কারণে এ সময় ডায়াবেটিস রোগীর পৃথকভাবে ব্যায়াম করার কোনো প্রয়োজন নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে।

http://youtube.com/channel/UCUFf41GU0_eRKZo_qcXCoiA/subscribe
http://surahanews.blogspot.com
http://surahabollywoodnews.blogspot.com
http://suraharecipes.blogspot.com
http://plus.google.com/+surahanews
http://plus.google.com/u/0/
http://surahahollywoodnews.blogspot.com


Comments

Popular posts

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে।

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে: ডা.রাফিয়া আলম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। শরীরর্চ্চা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।যাঁরা সময়ের অভাবে বা স্থানের অভাবে বাইরে যেতে পারেন না,তাঁরা বাড়ীতে বা ব্যায়ামাগারে যন্ত্রপাতির সাহায্যে ব্যায়াম করছেন।আজকাল অনেকেই ঘরপই তাই  ট্রেডমিল আছে। আসুন জেনে নিই ট্রেডমিল ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন। শুরুতেই খুব জোরে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই।৫-১০ মিনিট হালকাভাবে হেঁটে বা দৌড়ে শরীর গরম করে নিন।এরপর জোরে দৌড়ান।নিজের সামর্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে সময়টা ঠিক করে নিন।কিছুক্ষণ জোরে দৌড়ানোর পর গতি কমিয়ে নিয়ে ধীরে হাঁটুন।প্রাথমিক অবস্থায় যতক্ষণ দৌড়াচ্ছেন, তার তিন গুন সময় পর্যন্ত কম গতিতে হাঁটুন,এরপর আবার জোরে দৌড়ান এবং একই নিয়মে ধীরে হাঁটুন।এভাবে ছন্দ মেনে চলুন।কয়েক দিন পর ধীরে হাঁটার সময়টুকু অল্প অল্প করে কমিয়ে আনুন।একসময় ধীরে হাঁটার সময়টা জোরে দৌড়ানোর সময়ের চেয়েও কমিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত পরিশ্রম করে প্রচণ্ড হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থায় যাওয়ার আগেই ব্যায়ামের গতি কমানো বা বিশ্রামে যাওয়া উচিত। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ব্যায়াম করার পরিবর্তে মাঝারি শক্তি খরচ ক

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত।

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত: ডা.এম ইয়াসিন আলী: বাত খুব পরিচিত শব্দ।আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ বাতব্যথায় ভুগে থাকেন।মানবদেহের জোড়া অংশগুলোর রোগ বা সমস্যা আথ্রার্টিস নামে পরিচিত।মানবদেহে অসংখ্য জয়েন্ট বা জোড়া রয়েছে।এসব জোড়া তিন ধরনের। এসবে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনের নামই হলো আথ্রাইটিস।এটি এক ধরনের বাতরোগ।আথ্রাইটিসে এক বা একাধিক জোড়ায় ব্যথা হয়।জোড়া ফুলে যেতে পারে,নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে,রোগীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম,চলাফেরায় অসুবিধা হবে,অনেক সময় জ্বরও আসতে পারে,পাশাপাশি শরীর ক্লান্তবোধ,অবসাদ,হতাশা,অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।এভাবে চলতে থাকলে ক্রমে রোগী তার দেহের জোড়ার কর্মক্ষমতা বা নড়াচড়ার ক্ষমতা হারায়,এবং জোড়া সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে রোগী পঙ্গুত্ববরণ করতে পারে।এ ছাড়া দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে মাংসপেশী শুকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা :আথ্রাইটিস জোড়ার রোগ।এটি বিভিন্ন ধরনের।যদি কারো এ জাতীয় সমস্যা হয়,তা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন।এ ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেও বোঝা যায়,কী ধরনের আথ্রাইটিসে রোগী আক্রান্ত।আথ্রাইটিসে ফিজিওথের

ডেঙ্গু,না চিকুনগুনিয়া ?

ডেঙ্গু, না চিকুনগুনিয়া? অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ  এ বছর বৃষ্টিপাত একটু আগেই শুরু হয়েছে।ফলে চারদিকে ছড়াচ্ছে নানা  ভাইরাস।বর্ষায় কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।ইদানীং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়া।এই দুই ধরনের ভাইরাস প্রায় একই সময়ে দেখা দেয়।এদের জীবাণুবাহী মশাও একই প্রজাতির,এডিস।রোগের লক্ষণ ও উপসর্গেও নানা মিল আছে।ইদানীং জ্বর, গায়ে ব্যথা,র‍্যাশ বা ফুস কুড়ি দেখা দিলে অনেকেরই মধ্যে আতকং কাজ করে। এটা ডেঙ্গু,নাকি চিকুনগুনিয়া? কিছু তফাত আছে: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটোই ভাইরাস জ্বর। পাশাপাশি থাকে তীব্র শরীর ব্যথা।তবে পার্থক্য হলো,ডেঙ্গুজ্বরে চোখ ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়,মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথাও হয়।তবে গিরা তেমন ফুলে না বা ব্যথাও কম থাকে।কিন্তু চিকুনগুনিয়ার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে গিরায় ব্যাথা।আফ্রিকার আঞ্চলিক ভাষায় এই চিকুনগুনিয়ার মানে বাঁকা হয়ে যাওয়া।কেউ বলেন ল্যাংড়া জ্বর। কারণ এতে আক্রান্ত রোগীর ঘাড়,পিঠ,মাজার এত তীব্র ব্যথা হয় যে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়।তখন কেউ কেউ খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হন।চলতি বছর বাংলাদেশে রোগটির আকস্মিক বিস্তার দেখা