Skip to main content

জীবন ররক্ষাকারী ইনজেকশন (হ্যাট অ্যাটাকের) এখন বিনা মূল্যে.

জীবন রক্ষাকারী ইনজেকশন (হ্যাট অ্যাটাকের) এখন বিনা মূল্যে:
হ্যাট অ্যাটাকের পর ধমনিতে জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত গলিয়ে দেওয়া জীবন ররক্ষাকারী ইনজেকশন এখন রোগীদের বিনা মূল্যে দিচ্ছে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।হার্ট অ্যাটাক করে কেউ ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে তিনি বিনা মূল্যে এই ইনজেকশন পাবেন।বাইরের ওষুধের দোকানে এর দাম পাঁচ -ছয় হাজার টাকা।হাসপাতাল সূত্রে জানায়, হাসপাতালটির পরিচালক রোগীদের বিনা মূল্যে এই ইনজেকশন দেওয়ার আদেশ জারি করে বলেছেন,কোন নার্স বা চিকিৎসক এই ইনজেকশন রোগীদের দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনালে বা কেনার পরামর্শ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।একজন চিকিৎসক বলেন,হার্ট অ্যাটাকের পর রক্ত জমাট বেঁধে যায়।জীবন রক্ষাকারী এই ইনজেকশন দেওয়ার পর জমাট বাঁধা রক্ত তরল হয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং হৃদ্য্ন্ত্র সচল হয়। যত দ্রুত শিরায় এই ইনজেকশন দেওয়া যাবে, হার্টের পেশী তত ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক আফজালুর রহমান বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে এ ইনজেকশন মধ্যবিত্ত ও উচচবিত্তরা কিনতে পারলেও গরিব -অসহায় রোগীরা তা পারেন না।মূলত গরিব রোগীর কথা বিবেচনা করে হাসপাতালের নিজস্ব বরাদ্দ থেকে সম্প্রতি এই ইনজেকশন কেনা হয়েছে।
 পরিচালক অধ্যাপক আফজালুর রহমান আরও বলেন, গত জানুয়ারীতে পরিচালক হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই  জরুরি বিভাগে ইকোকার্ডিওগ্রাম যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ইসিজি, কার্ডিয়াক মনিটর,ডি-ফেব্রিলেটর যন্ত্র বসিয়ে জরুরি বিভাগকে একটি ছোট সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিক) রুপান্তর করা হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ

Comments

Popular posts

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে।

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে: ডা.রাফিয়া আলম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। শরীরর্চ্চা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।যাঁরা সময়ের অভাবে বা স্থানের অভাবে বাইরে যেতে পারেন না,তাঁরা বাড়ীতে বা ব্যায়ামাগারে যন্ত্রপাতির সাহায্যে ব্যায়াম করছেন।আজকাল অনেকেই ঘরপই তাই  ট্রেডমিল আছে। আসুন জেনে নিই ট্রেডমিল ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন। শুরুতেই খুব জোরে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই।৫-১০ মিনিট হালকাভাবে হেঁটে বা দৌড়ে শরীর গরম করে নিন।এরপর জোরে দৌড়ান।নিজের সামর্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে সময়টা ঠিক করে নিন।কিছুক্ষণ জোরে দৌড়ানোর পর গতি কমিয়ে নিয়ে ধীরে হাঁটুন।প্রাথমিক অবস্থায় যতক্ষণ দৌড়াচ্ছেন, তার তিন গুন সময় পর্যন্ত কম গতিতে হাঁটুন,এরপর আবার জোরে দৌড়ান এবং একই নিয়মে ধীরে হাঁটুন।এভাবে ছন্দ মেনে চলুন।কয়েক দিন পর ধীরে হাঁটার সময়টুকু অল্প অল্প করে কমিয়ে আনুন।একসময় ধীরে হাঁটার সময়টা জোরে দৌড়ানোর সময়ের চেয়েও কমিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত পরিশ্রম করে প্রচণ্ড হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থায় যাওয়ার আগেই ব্যায়ামের গতি কমানো বা বিশ্রামে যাওয়া উচিত। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ব্যায়াম করার পরিবর্তে মাঝারি শক্তি খরচ ক

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত।

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত: ডা.এম ইয়াসিন আলী: বাত খুব পরিচিত শব্দ।আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ বাতব্যথায় ভুগে থাকেন।মানবদেহের জোড়া অংশগুলোর রোগ বা সমস্যা আথ্রার্টিস নামে পরিচিত।মানবদেহে অসংখ্য জয়েন্ট বা জোড়া রয়েছে।এসব জোড়া তিন ধরনের। এসবে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনের নামই হলো আথ্রাইটিস।এটি এক ধরনের বাতরোগ।আথ্রাইটিসে এক বা একাধিক জোড়ায় ব্যথা হয়।জোড়া ফুলে যেতে পারে,নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে,রোগীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম,চলাফেরায় অসুবিধা হবে,অনেক সময় জ্বরও আসতে পারে,পাশাপাশি শরীর ক্লান্তবোধ,অবসাদ,হতাশা,অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।এভাবে চলতে থাকলে ক্রমে রোগী তার দেহের জোড়ার কর্মক্ষমতা বা নড়াচড়ার ক্ষমতা হারায়,এবং জোড়া সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে রোগী পঙ্গুত্ববরণ করতে পারে।এ ছাড়া দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে মাংসপেশী শুকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা :আথ্রাইটিস জোড়ার রোগ।এটি বিভিন্ন ধরনের।যদি কারো এ জাতীয় সমস্যা হয়,তা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন।এ ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেও বোঝা যায়,কী ধরনের আথ্রাইটিসে রোগী আক্রান্ত।আথ্রাইটিসে ফিজিওথের

ডেঙ্গু,না চিকুনগুনিয়া ?

ডেঙ্গু, না চিকুনগুনিয়া? অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ  এ বছর বৃষ্টিপাত একটু আগেই শুরু হয়েছে।ফলে চারদিকে ছড়াচ্ছে নানা  ভাইরাস।বর্ষায় কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।ইদানীং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়া।এই দুই ধরনের ভাইরাস প্রায় একই সময়ে দেখা দেয়।এদের জীবাণুবাহী মশাও একই প্রজাতির,এডিস।রোগের লক্ষণ ও উপসর্গেও নানা মিল আছে।ইদানীং জ্বর, গায়ে ব্যথা,র‍্যাশ বা ফুস কুড়ি দেখা দিলে অনেকেরই মধ্যে আতকং কাজ করে। এটা ডেঙ্গু,নাকি চিকুনগুনিয়া? কিছু তফাত আছে: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটোই ভাইরাস জ্বর। পাশাপাশি থাকে তীব্র শরীর ব্যথা।তবে পার্থক্য হলো,ডেঙ্গুজ্বরে চোখ ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়,মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথাও হয়।তবে গিরা তেমন ফুলে না বা ব্যথাও কম থাকে।কিন্তু চিকুনগুনিয়ার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে গিরায় ব্যাথা।আফ্রিকার আঞ্চলিক ভাষায় এই চিকুনগুনিয়ার মানে বাঁকা হয়ে যাওয়া।কেউ বলেন ল্যাংড়া জ্বর। কারণ এতে আক্রান্ত রোগীর ঘাড়,পিঠ,মাজার এত তীব্র ব্যথা হয় যে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়।তখন কেউ কেউ খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হন।চলতি বছর বাংলাদেশে রোগটির আকস্মিক বিস্তার দেখা