Skip to main content

ডেঙ্গু,না চিকুনগুনিয়া ?

ডেঙ্গু, না চিকুনগুনিয়া?
অধ্যাপক খাজা নাজিমুদ্দিন
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 এ বছর বৃষ্টিপাত একটু আগেই শুরু হয়েছে।ফলে চারদিকে ছড়াচ্ছে নানা  ভাইরাস।বর্ষায় কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।ইদানীং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভাইরাস জ্বর চিকুনগুনিয়া।এই দুই ধরনের ভাইরাস প্রায় একই সময়ে দেখা দেয়।এদের জীবাণুবাহী মশাও একই প্রজাতির,এডিস।রোগের লক্ষণ ও উপসর্গেও নানা মিল আছে।ইদানীং জ্বর, গায়ে ব্যথা,র‍্যাশ বা ফুস কুড়ি দেখা দিলে অনেকেরই মধ্যে আতকং কাজ করে। এটা ডেঙ্গু,নাকি চিকুনগুনিয়া?
কিছু তফাত আছে:
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটোই ভাইরাস জ্বর। পাশাপাশি থাকে তীব্র শরীর ব্যথা।তবে পার্থক্য হলো,ডেঙ্গুজ্বরে চোখ ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়,মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথাও হয়।তবে গিরা তেমন ফুলে না বা ব্যথাও কম থাকে।কিন্তু চিকুনগুনিয়ার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে গিরায় ব্যাথা।আফ্রিকার আঞ্চলিক ভাষায় এই চিকুনগুনিয়ার মানে বাঁকা হয়ে যাওয়া।কেউ বলেন ল্যাংড়া জ্বর। কারণ এতে আক্রান্ত রোগীর ঘাড়,পিঠ,মাজার এত তীব্র ব্যথা হয় যে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়।তখন কেউ কেউ খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হন।চলতি বছর বাংলাদেশে রোগটির আকস্মিক বিস্তার দেখা দিয়েছে।তাই কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করছে।সাধারণ চিকুনগুনিয়ার জ্বর,ত্বকে র‍্যাশ,সন্ধি বা হাড়ের জোড়ায় ব্যথা ও গায়ে ব্যথা করে।এর চেয়ে তীব্র হলে সন্ধি ফুলে যায়,গায়ে তীব্র ব্যথা, চোখে ব্যথা,রক্তচাপ ও প্রস্রাব হ্রাস প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে।রোগটি সবচেয়ে জটিল রুপ নিলে উউচ্চমাত্রার জ্বর, সন্ধি ব্যথা ও ফোলা,বমি এবং ডায়রিয়ায় রোগী অচেতনও হয়ে যেতে পারে।তবে চিকুনগুনিয়ায় ডেঙ্গুর চেয়ে মৃত্যুঝুঁকি কিছুটা কম।ডেঙ্গু সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়।তবে চিকুনগুনিয়ার রোগী ৭ থেকে ১০ দিনে সেরে উঠলেও ব্যথা কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ি হতে পারে।এমনকি জ্বরটা সেরে গিয়ে আবারও হতে পারে।
কী করবেন?
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা প্রায়  একই রকমের।  ডেঙ্গু এন এস ওয়ান অ্যান্টিজেন বা ডেঙ্গু আইজিএম অ্যাএন্টিবডি পরীক্ষা করে রোগনির্ণয় করতে হয়।তার আগ পর্যন্ত চিকিৎসার কোনো হেরফের নেই।সমস্যা তীব্র না হলে বাড়ীতেই থাকুন।প্রচুর পরিমাণে পানি তরল জিনিষ পান করুন( দিনে দুই লিটার,সঙ্গে লবণ-জল, ডাবের পানি,স্যালাইন ইত্যাদি)।জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।পর্যপ্ত বিশ্রাম নিন।সন্ধি ব্যথা কমাতে ঠান্ডা ছ্যাঁক নিতে পারেন,হালকা ব্যায়াম করা যায়।রোগনির্ণয়ের আগেই অ্যাসপিরিন বা ব্যথানাশক সেবন করা যাবে না।
কখন হাসপাতালে যাবেন?
এমনিতে চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গুর মতো জটিল না হলেও ষার্টোধর্ব ব্যক্তি বা ছোট শিশু,অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং কিডনি, যকৃৎ বা হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুঁকি থাকে।রক্তচাপ কমে গেলে বা প্রস্রাবের পরিমাণ দিনে ৫০০ মিলিলিটারের কম হলে, তিন দিন বাড়ীতে চিকিৎসার পরও ব্যথা তীব্র রয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে শিরায় স্যালাইন দিতে হতে পারে।চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্ত করতে পিসিআর,কালচার বা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা যেতে পারে।উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ রোগে গিরার কোনো স্থায়ি ক্ষতি হয় না,এটি বাতরোগও নয়।মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ থেকে নগরবাসীর রেহাই নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে
http://youtube.com/channel/UCUFf41GU0_eRKZo_qcXCoiA
http://plus.google.com/u/0/
http://plus.google.com/+surahanews
http://linkedin.com/in/faisal-mostak-36239469
http://twitter.com/faisalmostak
http://pinterest.com/faisalhossain20
http://facebook.com/mytube
http://facebook.com/mostak.faisal
http://facebook.com/surahanews
http://surahanews.blogspot.com
http://suraharecipes.blogspot.com
http://surahabollywoodnews.blogspot.com
http://hi5.com/faisalmostak



Comments

Popular posts

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে।

ব্যায়াম যখন ট্রেডমিলে: ডা.রাফিয়া আলম হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। শরীরর্চ্চা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।যাঁরা সময়ের অভাবে বা স্থানের অভাবে বাইরে যেতে পারেন না,তাঁরা বাড়ীতে বা ব্যায়ামাগারে যন্ত্রপাতির সাহায্যে ব্যায়াম করছেন।আজকাল অনেকেই ঘরপই তাই  ট্রেডমিল আছে। আসুন জেনে নিই ট্রেডমিল ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন। শুরুতেই খুব জোরে দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই।৫-১০ মিনিট হালকাভাবে হেঁটে বা দৌড়ে শরীর গরম করে নিন।এরপর জোরে দৌড়ান।নিজের সামর্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে সময়টা ঠিক করে নিন।কিছুক্ষণ জোরে দৌড়ানোর পর গতি কমিয়ে নিয়ে ধীরে হাঁটুন।প্রাথমিক অবস্থায় যতক্ষণ দৌড়াচ্ছেন, তার তিন গুন সময় পর্যন্ত কম গতিতে হাঁটুন,এরপর আবার জোরে দৌড়ান এবং একই নিয়মে ধীরে হাঁটুন।এভাবে ছন্দ মেনে চলুন।কয়েক দিন পর ধীরে হাঁটার সময়টুকু অল্প অল্প করে কমিয়ে আনুন।একসময় ধীরে হাঁটার সময়টা জোরে দৌড়ানোর সময়ের চেয়েও কমিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত পরিশ্রম করে প্রচণ্ড হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থায় যাওয়ার আগেই ব্যায়ামের গতি কমানো বা বিশ্রামে যাওয়া উচিত। প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ব্যায়াম করার পরিবর্তে মাঝারি শক্তি খরচ ক

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত।

রোজা পালনের মাধ্যমে থাকুন বাতব্যথামুক্ত: ডা.এম ইয়াসিন আলী: বাত খুব পরিচিত শব্দ।আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মানুষ বাতব্যথায় ভুগে থাকেন।মানবদেহের জোড়া অংশগুলোর রোগ বা সমস্যা আথ্রার্টিস নামে পরিচিত।মানবদেহে অসংখ্য জয়েন্ট বা জোড়া রয়েছে।এসব জোড়া তিন ধরনের। এসবে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশনের নামই হলো আথ্রাইটিস।এটি এক ধরনের বাতরোগ।আথ্রাইটিসে এক বা একাধিক জোড়ায় ব্যথা হয়।জোড়া ফুলে যেতে পারে,নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে,রোগীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম,চলাফেরায় অসুবিধা হবে,অনেক সময় জ্বরও আসতে পারে,পাশাপাশি শরীর ক্লান্তবোধ,অবসাদ,হতাশা,অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।এভাবে চলতে থাকলে ক্রমে রোগী তার দেহের জোড়ার কর্মক্ষমতা বা নড়াচড়ার ক্ষমতা হারায়,এবং জোড়া সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে রোগী পঙ্গুত্ববরণ করতে পারে।এ ছাড়া দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে মাংসপেশী শুকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা :আথ্রাইটিস জোড়ার রোগ।এটি বিভিন্ন ধরনের।যদি কারো এ জাতীয় সমস্যা হয়,তা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন।এ ছাড়া রোগের লক্ষণ দেখেও বোঝা যায়,কী ধরনের আথ্রাইটিসে রোগী আক্রান্ত।আথ্রাইটিসে ফিজিওথের